নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কিছুতেই যেন থামছে না। কোনো যুক্তিসংগত কারণ ছাড়াই সব ধরনের দ্রব্যের মূল্য বেড়েই চলেছে। তাতে নাভিশ্বাস উঠেছে ক্রেতাসাধারণের। বিশেষ করে স্বল্প আয়ের মানুষ তাদের আয়ের সঙ্গে ব্যয় সমন্বয় করতে পারছেন না।
সাতক্ষীরা শহরের বড়বাজার, টাউন বাজার, মিল বাজার, কদমতলা বাজারসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে চালের দামের ঊর্ধ্বগতি। মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৪৫ টাকা। অপর দিকে ২৮ জাতের চাল প্রতি কেজি ৫২ টাকায়, মিনিকেট ৬০ ও বাসমতি চাল ৬৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ভোজ্যতেলের দামও লাগামছাড়া হয়ে উঠেছে। এক লিটার সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৭৫ টাকায়। সরিষার তেলের প্রতি কেজি ২০০ টাকা। বেড়েছে মুগ, মসুরসহ বিভিন্ন ডালের দাম। চিনি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৮০ টাকায়।
কাঁচাবাজার কিছুটা স্থিতিশীল থাকলেও দাম বেড়েছে ব্রয়লার মুরগি ও ডিমের। এ ছাড়া খাসির মাংস প্রতি কেজি সর্বনিম্ন ৮৫০ ও গরুর মাংস ৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক কেজি ওজনের ওপরে প্রতি কেজি রুই বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৩০ টাকায়। কাতলা মাছের কেজি ২০০ টাকা। পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি ৪০ টাকা। রসুন, আদা ও গরম মসলার দাম ঊর্ধ্বমুখী।
ক্রেতারা বলছেন, তারা আয়ের সঙ্গে ব্যয় সমন্বয় করতে পারছেন না। অপর দিকে দোকানমালিকরা বলছেন, আমরা পাইকারি যে দামে কিনছি, তার চেয়ে সামান্য বেশি দামে বিক্রি করছি।
বাজারে সব দ্রব্যের সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও দাম নিয়ন্ত্রণে থাকছে না। অধিকাংশ দোকানে বাজার মূল্যের তালিকা নেই। তবে বাজারে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের দৃশ্যমান কোনো ভূমিকা চোখে পড়ে না।